দার্জিলিং টয় ট্রেন | সময়সূচি, ভাড়া, টিকিট বুকিং ২০২৪
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (DHR ) টয় ট্রেনটির যাত্রা শুরু হয় ১৮৮১ সালে এবং ১৯৯৯ সালে ডিসেম্বর মাসে এই টয় ট্রেনটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মর্যাদাও লাভ করে।
পশ্চিমবঙ্গের, দার্জিলিং ট্যুর টি সম্পূর্ণ হয় টয় ট্রেন চড়ার মাধ্যমে। আর এখন দার্জিলিঙে টয় ট্রেনের জয় রাইড করাটা অনেক সুবিধা হয়ে গেছে , সারাদিনে অনেকগুলি ট্রেনও আছে, দু’ঘণ্টার মধ্যেই জয় রাইড টি কমপ্লিট ও হয়ে যায়।
তাই দার্জিলিং হিমালয়ান টয় ট্রেনের রাইট উপভোগ করতে গেলে কিভাবে টয়ট্রেন বুক করবেন, কত টাকা খরচ পড়বে, টাইম কত লাগবে, দিনের দিন বুক করা যাবে কিনা ইত্যাদি সমস্ত বিস্তারিত ইনফরমেশনই পাবেন এই প্রতিবেদনটিতে । তাহলে চলুন দার্জিলিং টয় ট্রেন এর কয়েক ঝলক আপনাদেরকে দেখাই।
দার্জিলিং টয় ট্রেন
দার্জিলিং টয় ট্রেন রাইড এর রুট
দার্জিলিঙে টয় ট্রেনের জয় রাইড টি দার্জিলিং স্টেশন থেকে শুরু হয়ে বাতাসিয়া লুপ হয়ে ঘুম স্টেশনে যায়, সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে আবার ঘুম স্টেশন থেকে বাতাসিয়া লুপ হয়ে দার্জিলিং ফিরে যায়।
দার্জিলিং থেকে ঘুম এবং ঘুম থেকে আবার দার্জিলিং এ ফিরে আসতে মোটামুটি দু’ঘণ্টার একটা রাউন্ড ট্রিপ হয়। ট্রেনটি বাতাসিয়া লুপে দশ মিনিট এর মতো থামে, তারপরে ঘুম স্টেশনে পৌঁছে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মতো ব্রেক নেয়, তারপরে আবার ট্রেনটি দার্জিলিং ফিরে আসে।
দার্জিলিং টয় ট্রেন কোচ
বর্তমানে দুই ধরনের টয় ট্রেন চলে দার্জিলিঙে চলে। একটি হচ্ছে ডিজেল টয় ট্রেন আরেকটি হচ্ছে স্টিম ইঞ্জিন এর টয়ট্রেন। প্রতিটি কোচে ৪৪ টি আসন রয়েছে।
এখন এই টয় ট্রেন গুলিতে নতুন ভিস্তা ডোম কোচ যুক্ত করা হয়েছে। তাই এখন দার্জিলিঙে টয় ট্রেনে বসে পাহাড়ি দৃশ্য উপভোগ করাটা একেবারে অন্যরকম হয়ে গেছে।
আবার টয় ট্রেনে করে নিউ জলপাইগুড়ি ( NJP) থেকে দার্জিলিং ও পৌঁছে যাওয়া যায়। একটি টয় ট্রেন নিয়মিত যাত্রী পরিষেবার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
কিভাবে দার্জিলিং টয় ট্রেন রাইড টি বুক করবেন? (How to Book Toy Train in Darjeeling)
মনে রাখবেন পিক সিজনের সময় দার্জিলিঙে টয় ট্রেনের জয় রাইট করার জন্য প্রচুর ভিড় হয়, তাই দিনের দিন বুকিং পাওয়ার চান্স কম থাকে। তাই যে দিন দার্জিলিং পৌঁছাবেন সেই দিন ই দার্জিলিং স্টেশন এ এসে টয় ট্রেন রাইড টি বুক করে ফেলুন। অনন্য দিকে ট্যুর প্ল্যান ও সাইড সীন সেই ভাবেই সাজান। এই টয় ট্রেনের রাইড টি উপভোগ করতে হলে আগে থেকে টিকিট বুক করাই ভালো। এছাড়াও IRCTC এর মাধ্যমে ও অ্যাডভান্স টিকিট বুক করতে পারবেন।
আর যদি একান্তই টিকিট বুক করতে না পারেন তাহলে দার্জিলিং থেকে কার্শিয়াং এর জন্য সকাল বেলা যাত্রীবাহী টয় ট্রেন ছাড়ে এবং বাতাসিয়া লুপ ও ঘুম স্টেশন হয়ে যায়, সেই ট্রেনের টিকিট কেটে উঠে পড়ুন এবং ঘুম স্টেশনে নেমে পড়ুন সেখান থেকে শেয়ার কার পাওয়া যায় দার্জিলিংয়ের জন্য, তাতে উঠে পড়ুন এবং দার্জিলিং ফিরে আসুন। ঘুম স্টেশন থেকে দার্জিলিং গাড়িতে ফিরে আসতে ২০-২৫ মিনিট সময় লাগে শেয়ার গাড়ির ভাড়া ৩০ টাকা প্রতিজন ।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং, নতুন ভিস্তাডোম টয় ট্রেন
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং ভিস্তাডোম এসি টয় ট্রেন চলছে।
- সময়:- সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬:৩০ পর্যন্ত
- তারিখ:- সোমবার, বুধবার এবং শনিবার
দার্জিলিং থেকে নিউ জলপাইগুড়ি ভিস্তাডোম এসি টয় ট্রেন
- সময়:- সকাল ৯.১০টা থেকে বিকাল ৪:৩৫ টা পর্যন্ত
- তারিখ:- মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার এবং রবিবার
- ভাড়া:-১৫০০ টাকা
দার্জিলিং টয় ট্রেন টিকিটের দাম কত?
বর্তমানে টয়ট্রেন জয়রাইডের ভাড়া হচ্ছে, ডিজেল ইঞ্জিনের হাজার টাকা প্রতিজন। আজ স্টিম ইঞ্জিনের ভাড়া হচ্ছে দেড় হাজার টাকা। এই টয় ট্রেনের কোচগুলি ভিস্তা ডোম কোচ এ আপগ্রেড করা হয়েছে। কোচ হয়।
আর আপনারা যারা যারা টয়ট্রেন ইতিমধ্যেই চড়ে ফেলেছেন তারা কমেন্টের মাধ্যমে আপনাদের এক্সপেরিয়েন্স আমার সঙ্গে শেয়ার করতে। ধন্যবাদ আপনার যাত্রা শুভ হোক।
কবে টয় ট্রেন টি চড়বেন?
বৃহস্পতিবার দার্জিলিঙে সবই প্রায় বন্ধ থাকে যেমন HMI, মার্কেট ইত্যাদি তাই চেষ্টা করবেন ওই দিনটাতে টয় ট্রেনটি চড়ে নিতে, আর ওই দিন ম্যাল ও ভালো করে ঘুরে নিতে পারেন। মাল এর চারপাশে কোথায় কি পাওয়া যাচ্ছে দেখে নিতে পারেন , আমি দার্জিলিং মাল এর একটি ভিডিও বানিয়েছি দেখতে পারেন অনেক আইডিয়া পেয়ে যাবেন।
ঘুম রেলওয়ে স্টেশন
ঘুম রেলওয়ে স্টেশনটিও একটি ঐতিহাসিক জায়গা এবং হিমালয়ের সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থিত রেলওয়ে স্টেশন। বর্তমানে ঘুম স্টেশনের পাশে একটি মিউজিয়াম তৈরিও করার কাজ চলছে। খুব শিগগিরই সেটা কমপ্লিট হয়ে যাবে।
দার্জিলিং টয় ট্রেনে কি টয়লেট আছে?
না টয় ট্রেনে টয়লেট নেই।